
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
পার্কিং–বিরোধেই উত্তেজনা,ওসিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙার চেষ্টা করেন আজম খান,
রাজশাহী মহানগরের চন্দ্রিমা থানার চৌধুরী পাড়ায় দীর্ঘদিনের পারিবারিক ও পার্কিং–বিষয়ক বিরোধকে কেন্দ্র করে এক মা–ছেলেকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে আহত করেছে একই ভবনের নিচতলার বাসিন্দা আজম খান ও তার সহযোগীরা—এ অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। মোছা. রেবেকা সুলতানা (৪০) শনিবার চন্দ্রিমা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগে বলা হয়, আজম খান দীর্ঘদিন ধরে ফ্ল্যাট বিক্রি করে দেওয়ার পরেও ভবনের যৌথ পার্কিং স্পেস দখল করে ভাড়া দিয়ে আসছেন। ফলে অন্যান্য ফ্ল্যাট মালিকরা নিয়মিতই যাতায়াতে অসুবিধায় পড়ছেন। বিষয়টি নিয়ে কথা বললেই তিনি হুমকি–ধমকি ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
গত ১৮ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মদিনা নগর মসজিদের সামনে থেকে রেবেকার ছেলে মো. তানজিম ফয়সালকে ডেকে নিয়ে প্রথমে মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আহত অবস্থায় বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। এ ঘটনার জেরে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে স্থানীয় সালিসে বসলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সালিস চলাকালীন আজম খান ও তার সহযোগীরা রেবেকা সুলতানা এবং তাঁর ছেলেকে প্রকাশ্যে কিল–ঘুষি, লাথি ও ধাক্কা দিয়ে মারধর করেন এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
ঘটনার অংশবিশেষ নিকটবর্তী সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে, যা রেবেকা সুলতানা পুলিশকে প্রদান করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইমরান, মোছা. সুমি সহ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রেবেকা সুলতানা জানান, এর আগেও একই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল, তবে কোনো সমাধান না হওয়ায় তাদের আচরণ আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। ফলে পরিবারটি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আজম খান গণমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
চন্দ্রিমা থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজসহ সব প্রমাণ সংগ্রহ করে তদন্ত চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।










